প্রচণ্ড গরমে দিন দিন বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা। শীতের সময় বিলের পরিমাণ একটু কম হলেও বছরের বাকি সময়টা বিদ্যুতের বিল যেন লাগামছাড়া হয়ে যায়। মূল্যবৃদ্ধির এ বাজারে যদি বিদ্যুতের বিলও বেড়ে যায়, তাহলে খরচ সামলানো মুশকিল হয়ে পড়ে। শুধু বিদ্যুতের বিল বাঁচাতে হবে এমন নয়, বিদ্যুৎ সংরক্ষণ করতে হবে। সেক্ষেত্রে ছোট ছোট কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখলেই এই বিল নিয়ন্ত্রণে আনা যেতে পারে।
গুগল নিউজে ফলো করুন আরটিভি অনলাইন
বিদ্যুৎ খরচ কমাতে জেনে নিন কয়েকটি কৌশল—
মোবাইল চার্জার থেকে খোলার পর অবশ্যই সুইচ বন্ধ করতে হবে। বেশিরভাগ সময় এসি রিমোট দিয়ে বন্ধ করার পর সুইচ বন্ধ করি না। এতেও কিছুটা অতিরিক্ত ইউনিট পোড়ে।
যতটা পারবেন প্রাকৃতিক আলো ব্যবহার করবেন। সেজন্য ঘরে জানালা একটু বড় রাখতে হয়। দক্ষিণের জানালা দিয়ে সবচেয়ে বেশি আলো পাওয়া যায় বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
আরও পড়ুন
পূজায় কাচের মতো স্বচ্ছ ত্বক পেতে মাখুন এই ফেসমাস্ক
ব্যবহার করুন সিএফএল বা এলইডি লাইট। এসব লাইটের আলোয় ফিলামেন্টের তুলনায় সার্কিট ব্যবহার হওয়ায় বিদ্যুতের খরচ কমে। যে কোনও বৈদ্যুতিক যন্ত্র কেনার সময় স্টার রেটিংয়ে ভরসা রাখুন।
কোনও যন্ত্রের স্টার রেটিং বেশি হলে তার ইউনিট বাঁচানোর ক্ষমতাও ততোধিক। পুরনো তার, পুরনো যন্ত্র ব্যবহারে বিদ্যুৎ বিল বাড়ে। তাই দশ-পনেরো বছরের পুরনো যন্ত্র বা তার ব্যবহার না। আধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করুন।
অনেক ডিভাইস স্ট্যান্ডবাই মোডে থাকা সত্ত্বেও কিংবা বন্ধ করলেও বিদ্যুৎ খরচ করতে থাকে। তাই ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী ও ডিভাইস যখন অব্যবহৃত থাকে, তখন সেগুলোর প্লাগ খুলে রাখা উচিত।
ঘন ঘন এসি চালু ও বন্ধ করবেন না। চালিয়ে কিছুক্ষণ পর বন্ধ করাই নিয়ম। রোদ পড়ে এমন জায়গায় এসির আউটলেট রাখবেন না। অনেকে মাথার ওপরে একটি শেড করে দেন। এটিও ভুল ধারণা। এসি মেশিন রোদ-বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচাতে ঢেকে রাখলে তাতে মেশিন খারাপ হয় তাড়াতাড়ি।
এসির তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রির নীচে নামাবেন না। তাতে বেশি ইউনিট খরচ হয়। দিনে এক ঘণ্টা করে বন্ধ রাখুন ফ্রিজ। যন্ত্রও বিশ্রাম পাবে, বিদ্যুৎও বাঁচবে। নিয়ম করে সব যন্ত্রেরই সার্ভিসিং করান সময় মতো। এতে যন্ত্র ভালো থাকে ও কম বিদ্যুৎ টানে।
Copied from: https://www.rtvonline.com/lifestyle/294462?fbclid=IwY2xjawF3B2FleHRuA2FlbQIxMAABHYSoEuJc6dRqC0XrKMQVjhoc4yN0Hr634sufhwaDEwcDaeHt2sY7jz3yFQ_aem_NWq_QRqSABcF8NnpaKoQOA